সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন ?

সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন : যাদের সিম কার্ড সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন। সিম কার্ডের পূর্ণ নাম কি ইত্যাদি বিষয়ে। সিম কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বর্তমান সময়ে যারা মোবাইল ব্যবহার করে, তারা সবাই সিম কার্ড ব্যবহার করে। প্রতিটি মানুষের মোবাইলে কম করে হলেও দুটি সিম ব্যবহার করেন। সিম কার্ড ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করা মূল্যহীন। আমরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের সিম কার্ড ব্যবহার করি।

আমরা মোবাইলে যে সকল সিম কার্ড ব্যবহার করে থাকি। কখনো কি জানতে চেয়েছি, সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেছেন? আপনি যদি এ বিষয়ে না জেনে থাকেন। তাহলে, এই আটিকেলটি ধাপে ধাপে পড়তে থাকুন। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সিম কার্ডের সকল তথ্য

সিম কার্ড সম্পর্কে বলতে গেলে সর্বপ্রথম বলব। সিম কার্ডের পূর্ণ নাম সম্পর্কে। সিম কার্ডের সম্পূর্ণ নাম হলো- গ্রাহক সনাক্তকরণ মডিউল। SIM = Subscriber Identification Module.

আর এই সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেছেন এটি বলা অনেকটাই কঠিন ব্যাপার। কারণ সিম কার্ড সর্বপ্রথম জার্মানি কোম্পানি তৈরি করেছিল এবং সে জার্মান কোম্পানির জন্য, কে সিম কার্ড আবিষ্কার করেছিলেন।

যেমনটা বলেছিলাম যে সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন। এটি জার্মান সংস্থা তৈরি করেছিল। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল জিৎসেক এন্ড ডেভ্রিয়েন্ট। উক্ত কোম্পানির প্রধান কোয়ার্টারটি ছিল জার্মানির মিউনিখ শহরে। ১৯৯১ সালে বিশ্বের প্রথম সিম কার্ড কোম্পানি তৈরি করেছিল।
সিম কার্ড জিৎসেক ও ডেভ্রিয়েন্ট তৈরি করেন। কিন্তু প্রথমে তারা সিম কার্ড ব্যবহার করেননি। বরং পরিবর্তে অন্য দেশের ফিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি রেডিও নিলজা জিসেক এবং ডিভ্রিয়েন্টের কাছ থেকে সর্ব প্রথম ৩০০ সিম কার্ড করেছিলেন।

সর্বপ্রথম যে সিম কার্ড ব্যবহার করা হতো। সেই সিম কার্ডের কোন ধরণ ছিল না। সেই সময় ব্যবহার সিম কার্ডটি উপস্থিতিতে একটি এটিএম কার্ড এর মত ছিল। সেটি ধীরে ধীরে আকারে ছোট হয়ে যায় এবং তার নাম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৯৬ সালে মিনি সিম কার্ড বেশিরভাগ মোবাইলে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল।

তারপর ২০০৩ সালে, আরো ছোট করে, সিম কার্ডের নাম মাইক্রো সিম এবং উক্ত সিমটি ২০১০ সালে apple iphone এ, সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল।অ্যাপলের পরে, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে মাইক্রো সিম ব্যবহার করা শুরু হয়। মাইক্রো সিমের পরে আরো একটি সিম আসে। সেই সিমটির নাম ন্যানো সিম কার্ড।

তারপর ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে, তৈরিকৃত সব স্মার্টফোনের জন্য ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করা শুরু হয়। আর বর্তমান সময়ে আমরা বাংলাদেশে, বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারছি। যেমন- বাংলালিংক, গ্রামীন, রবি, টেলিটক, এয়ারটেল সিম ইত্যাদি।
উপরোক্ত সিম কার্ড গুলো আমরা মোবাইলে ব্যবহার করি। সাধারণত একটি মোবাইলে আমরা ২টি সিম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায়। আর বাংলাদেশে একটি এন আইডি কার্ড ব্যবহার করে, সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম কার্ড কিনতে পারে।

একটি সিম ব্যবহার করে, আপনারা কি কি কাজ করতে পারেন। সেটি অবশ্যই জানেন। একটি সিম কার্ড ব্যবহার করে, আপনারা খুব সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেমন-ফোন কল, এসএমএস/ এমএমএস ইত্যাদি। আবার একটি সিম কার্ডে, ইন্টারনেট ডাটা লোড করে, অনলাইনের মাধ্যমে অডিও কল, ভিডিও কল, সেটিং ইত্যাদি সবকিছু করা যায় একটি সিম ব্যবহার করে।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন। সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত আলোচনা থেকে, জানতে পারলেন সিম কার্ড কোন ব্যক্তি আবিস্কার করেছেন তার একান্তভাবে, নাম খুঁজে বের করা যায়নি। তবে সর্বপ্রথম জার্মানি কোম্পানির সিম কার্ড তৈরি করা শুরু করেন।

একটি সিম ব্যবহার করে, যোগাযোগ মাধ্যম, গুলো অক্ষুন্ন রাখতে পারি যে, কোন সময় যে কোন জায়গায়। সারা পৃথিবীতে যোগাযোগ করার দ্রুত মাধ্যম হচ্ছে সিম কার্ড। এই সিম কার্ড সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url