নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে - এনআইডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে : বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক মানুষ জানার চেষ্টা করে, নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে, এনআইডি(NID) কার্ড করতে কি কি লাগে অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র করতে কি কি লাগে ইত্যাদি। আপনি যদি নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে জানতে চান। তাহলে আপনাকে প্রথমে জানাচ্ছি ভোটার হতে বেশ কয়েকটি কাগজ প্রয়োজন হয়।
এই পোষ্টে একে একে সব গুলো কাগজপত্রের বিষয়ে উল্লেখ করব। কিন্তু কিছু কিছু এলাকা বা অঞ্চল আছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস সেখানকার নতুন ভোটার হতে এনআইডি করতে গেলে কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এবং সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

এই আটিকেলে সেই সকল কাগজপত্রের বিষয়ে উল্লেখ করবো। যেগুলো একজন প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। আশা করি ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে। সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন। তার মানে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

বর্তমান সময়ে অনেক লোকদের প্রশ্ন থাকে যেমন বয়স্ক ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে আর যাদের জন্ম ০১-০১-২০০৭ তার আগে হয়েছে সেক্ষেত্রে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি লাগে।
এই সকল প্রশ্নের উত্তর এটাই যে, সকলের ক্ষেত্রে একই ধরনের কাগজপত্র লাগবে। শুধুমাত্র ব্যক্তি বিবাহিত হলে, পেশাগত কারণ, প্রতিবন্ধী হলে ,কিছু কাগজপত্র বেশি লাগবে এবং এই সকল বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে। সে বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

জন্ম নিবন্ধন সনদ

নতুন ভোটার হতে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন পত্রের সাথে বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করতে হবে যে এটি হাতে লেখা কিনা ডিজিটাল।

কারণ বর্তমান সময়ের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া কোন ভাবেই, তুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাই আপনি যদি ইউনিয়নের পরিষদের বাসিন্দা হয়ে থাকেন। তাহলে জন্ম নিবন্ধন সনদ জরুরি ভিত্তিতে করে নিবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ

নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তার পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি সনদের ফটোকপি আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে।

বর্তমানে যারা মূলত সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেননি তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ থাকা স্বত্তেও শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন রেখে নতুন ভোটার হতে যাবেন না। তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

পিতা এবং মাতার এনআইডি কার্ডের কপি

জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদনের সাথে অবশ্যই পিতা এবং মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সাবমিট করতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেছে। তারা পিতা-মাতার মৃত সনদ পত্র আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে।

কাবিননামা- বৈবাহিক সনদ

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারী যদি বিবাহিত হওয়া থাকে তাহলে অবশ্যই আবেদনের সাথে কাবিননামা- বৈবাহিক সাবমিট করতে হবে। আর অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে কাবিননামা প্রযোজ্য নয়।

স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের কপি

যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সাবমিট করতে হবে। আর যদি বিবাহিত না হয়। তাহলে কিছুই লাগবেনা।

র‘ত্তে‘র গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে তার রিপোর্টের কপি আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করে দিতে হবে।

প্রত্যয়নপত্র

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ওয়ার্ড মেম্বার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রত্যয়ন পত্র। জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে।

নাগরিক সনদ

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারীর নাগরিকত্বের সনদ আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করে দিতে হবে।

ইউটিলিটি বিলের কপি

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন পত্রের সাথে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিলের কপি সাবমিট করতে হবে জরুরী ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে পরিবারের যে কোনো একজনের নামে হলেই হবে।

টেক্স রশিদ

আবেদন পত্রের সাথে চৌকিদারি টেক্স রশিদ, পৌর করের রশিদ, বাড়ি ভাড়ার রশিদ। বাড়ির যেকোনো একজন সদস্যের নামে থাকলেই চলবে।

অঙ্গীকারনামা

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের আগে ভোটার হয়নি মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করে সাবমিট করতে হবে। যাদের বয়স অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক।

পাসপোর্ট

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারী যদি পাসপোর্টধারী প্রবাসী হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই আবেদন পত্রের সাথে পাসপোর্ট এর কপি সাবমিট করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারীর যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে। তাহলে তার একটি কপি আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে।

প্রতিবন্ধী সনদ

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারী যদি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়। তবে আবেদন পত্রের সাথে প্রতিবন্ধী সনদ সাবমিট করতে হবে।

সার্ভিস আইডি কার্ড

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনকারী চাকরিজীবী হয়ে থাকলে তার সার্ভিস আইডি কার্ডের ফটোকপি আবেদন পত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে। আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে নতুন ভোটার হতে চান। তাদের উপরিউক্ত ডকুমেন্ট গুলো জরুরি ভাবে প্রয়োজন হবে।

শেষ কথাঃ

আজকের আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হল নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে। আপনার যদি ১৮ বছর হয় বা তার বেশি হয়। যদি জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড আগে কখনো করে না থাকেন। তাহলে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগবে এই বিষয়ে উপরোক্ত আলোচনায় জানিয়ে দিয়েছি। আপনার কাছে যদি এই গুলো থেকে থাকে তাহলে, উপজেলা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনার বন্ধু-বান্ধবদের নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এ বিষয়ে জানাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন। এছাড়া আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত নতুন নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের আপডেট পেতে ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url