ভিসা কি? ভিসা কিভাবে করতে হয়?

ভিসা কি? ভিসা কিভাবে করতে হয়? আপনি যদি ভিসা বিষয়ে ধারণা নিতে চান? তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আপনাকে ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জেনে থাকেন তাহলে এই আটিকেলেই জানতে পারবেন। আপনি যখন নিজের দেশ থেকে অন্য দেশ গুলোতে প্রবেশ করতে চাইবেন? তখন আপনার অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন পড়বে।

ভিসা কি? (what is visa)

ভিসা হলো একট অনুমতি পত্র। যা একটি দেশ থেকে অন্য আরেকটি দেশে প্রবেশ করার জন্যে দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া আপনি কোন ভাবেই এক দেশ থেকে অন্যদেশে যেতে পারবেন না। যেমন- আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা করতে হবে। আপনি যদি ভিসা ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করতে চান তাহলে সেটি হবে সম্পুর্ণ ভাবে অবৈধ।

পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের কয়েকটি পাতায় লিখে, সীল দিয়ে, স্টিকার লাগিয়ে ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। সকল দেশে প্রতিষ্ঠিত বিদেশস্থ দূতাবাস গুলো ভিসা প্রদান করে থাকে। উক্ত ভিসা প্রদান করার জন্য, সকল দূতাবাস গুলো কনস্যুলার শাখা আছে। দুই পক্ষ চুক্তির ভিত্তিতে, ভিসা ওয়েভার নীতিমালা দেওয়া থাকে এবং দুই দেশ পরস্পরের জন্যে ভিসা স্থগিদ বা বন্ধ রাখতে পারে।
পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। যাদের ওয়েভার চুক্তি আছে। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের মধ্যে ভিসা ওয়েভার চুক্তি থাকার জন্যে, ভিসা ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজেই ভ্রমন করতে পারে। তাছাড়া বিশেষ কোন চুক্তির মাধ্যমে অনেক গুলো দেশ, নিজেদের মধ্যে ভিসা প্রথা অবলম্বন করতে পারে।

যেমন- ‍শেনঝেন চুক্তির ভিত্তিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত কিছু দেশের নাগরিক, ভিসা ছাড়া অন্য দেশে চলাচল করতে পারবে। উক্ত শেনঝেন এলাকা নামে সবার কাছে পরিচিত লাভ করেছে। উক্ত শেনঝেন এলাকার বাইরে অবস্থিত কোন দেশের নাগরিকরা শেনঝেন ভিসা নিয়ে সেই দেশের যে কোন জায়গায় বা শহরে প্রবেশ করতে পারবেন।

আপনি একবার শেনঝেন এলাকায় প্রবেশ করার পরে অন্যান্য দেশ গুলোতে ভ্রমন করার ‍সুযোগ পেয়ে যাবেন। ২০০৮ সাল থেকে শেনঝেন ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার চুক্তি কার্যকর হয়েছে। কিভাবে সুইজারল্যান্ডের ভিসা নিয়ে শেনঝেন শহরে বা এলাকার অন্তুর্ভূক্ত দেশ গুলোতে যেতে পারবেন।

অন্যদিকে নেপাল ও ইন্ডিয়ার দুইটি দেশের পরস্পরের যুক্ত থাকায় ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশের নাগরিকরা দুইটি দেশে মুক্ত ভাবে যেতে পারে। তবে অন্যান্য দেশ থেকে নেপাল ও ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে হয়।আশা করি উক্ত আলোচনা থেকে জানতে পারেছেন ভিসা আসলে কি।

ভিসা কাকে বলে ?

ভিসা একটি অনুমতি পত্র। যা একটি দেশ কোন বিদেশি নাগরিককে সেই দেশে অবস্থান বা প্রবেশের জন্য দিয়ে থাকে। উক্ত ভিসা প্রদান করার জন্যে সকল দেশে দূতাবাসে কনস্যুলার একটি শাথা আছে। আশা করি ভিসা কাকে বলে বুঝতে পারছেন।

ভিসা কত প্রকার ?

ভিসা সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিসার কিছু প্রকার।
  • ভ্রমণ ভিসা
  • এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা
  • গৃহ কর্মী ভিসা
  • কাজের ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • ব্যবসা ভিসা
  • সাংবাদিক ভিসা
  • ক্রিউ ভিসা
  • মেডিকেল ভিসা
  • ট্রান্সিট ভিসা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের জন্য কোন দেশের ভিসা খোলা

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন দেশের ভিসা খোলা আছে যেমনঃ
  • কানাডা কাজের ভিসা
  • মালয়েশিয়া কাজের ভিসা
  • দুবাই কাজের ভিসা
  • সার্বিয়ায় কাজের ভিসা
  • জর্ডান জব ভিসা
  • ইতালি কাজের ভিসা
  • আলবেনিয়া কাজের ভিসা
  • দুবাই টুরিস্ট ভিসা
  • রাশিয়া কাজের ভিসা
  • ক্রোয়েমিয়া কাজের ভিসা
  • সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা
  • ফ্রান্স কাজের ভিসা
  • সৌদি আরব ভিসা
  • কানাডা বিজনেস ভিসা
  • মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
  • মালদ্বীপ কাজের ভিসা
  • কুয়েত কাজের ভিসা
  • ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা
  • করক্কো কাজের ভিসা
  • আয়রল্যান্ড জব ভিসা
  • বেলারুশ কাজের ভিসা ইত্যাদি।
উপরোক্ত দেশের ভিসা গুলো ছাড়া আরো বিভিন্ন দেশের ভিসা আছে।

কিভাবে ভিসা করতে হয়

ভিসা করার জন্য আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে। তার জন্য আপনারা বাংলাদেশের সরকারি ভিসা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখান থেকে Apply করতে পারবেন। আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে Bangladesh visa লিখে। গুগলে সার্চ করার পরে আপনি ভিসা ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার পছন্দ মতো দেশের ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ভিসার মেয়াদ কত দিন থাকে?

বর্তমান সময়ে যে কোন দেশের ভিসা ক্যাটগরি অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদ দেওয়া হয়। সাধারণত ভিসা দেওয়ার পরে সর্বশেষ কোন তারিখের মধ্যে সেই দেশে যাওয়া যাবে সেটি ভিসায় উল্লেখ থাকে। অন্যদিকে বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা নিয়ে যাওয়ার পরে কত দিন পর্যন্ত বিদেশে থাকতে পারবেন তার বিষয়ে ভিসাতেই উল্লেখ থাকবে এবং অনেক ভিসা আছে যে গুলো নিয়ে একবার কোন দেশে প্রবেশ করলে দুইবার প্রবেশ ও বহুবার প্রবেশ করার জন্যে সুযোগ দেওয়া থাকে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন আলাদা আলাদা ভিসার জন্য আলাদা আলাদা ভিসার মেয়াদ দেওয়া থাকে। সেই মেয়াদ অনুযায়ী আপনাকে ভ্রমন করতে হবে। এছাড়া ভিসার মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায়। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি পূর্ণরায় আবার ভিসা রিনিউ করে নিতে পারবেন কিছু টাকার বিনিময়ে।

শেষ কথাঃ

এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারছেন, ভিসা কি? কিভাবে ভিসা করতে হয়। আপনি যদি কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা করতে হবে আর ভিসা করার জন্য আপনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভিসা পছন্দ করে অনলাইন আবেদন করে নিতে পারবেন।

যদি এই আটিকেল আপনার কাছে ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং অন্যদের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url