বিটকয়েনের দরপতনে বেকায়দায় এল সালভাদর

সম্প্রতি যে হারে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের দর পড়তে শুরু করেছে, এতে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে এল সালভাদর। মধ্য আমেরিকার এই দেশটি বিটকয়েনে কোটি কোটি ডলার ঢেলেছে। মানুষকে প্রতিদিনের লেনদেনের জন্য এটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছে দেশটির সরকার।
রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল দেওয়া থেকে শুরু করে বাড়ি-গাড়ি কেনার মতো আর্থিক যেকোনো লেনদেনে এল সালভাদরের মানুষের কাছে বিটকয়েনের ব্যবহার এখন নিত্যদিনের বিষয়। কয়েক মাস আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে বিটকয়েনের ব্যবহারে বৈধতা দেন। এর পর থেকে ডলারের পাশাপাশি এ ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা দেশের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বিবিসি জানায়, সম্প্রতি বিটকয়েনের দাম পড়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে এল সালভাদরের সরকার। বিশেষ করে কিছুদিন আগে দেশটির সরকার ১০ কোটি ডলারের বিটকয়েন ক্রয় করে। প্রতিটি বিটকয়েন ৩০ হাজার ৭৪৪ মার্কিন ডলার দামে মোট ৫০০টি বিটকয়েন ক্রয় করে সরকার।

এল সালভাদরের ডিজিটাল কোষাগারে বর্তমানে ২ হাজার ৩০০টি বিটকয়েন রয়েছে। তবে কয়েনের দাম পড়ে যাওয়ায় বাজারে এর মূল্যমান অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারে কিছু ঝুঁকি তো থাকবেই।

এদিকে দেশ থেকে কাগুজে মুদ্রা তুলে নেওয়া হবে কিনা–এমন প্রশ্নের জবাবে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বুকেলে বলেন, ‘বিটকয়েন ব্যবহারে আমরা কাউকে জোর করছি না। এখানে এখনো ডলারের আধিপত্য রয়েছে।
বিটকয়েনের দরপতন প্রসঙ্গে এল সালভাদরের পর্যটনমন্ত্রী মোরেনা ভালদেজ বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। দেশের জনগণও তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রাখে।’
 
ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের জন্ম ২০০৮ সালে। ওই বছরের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন বা একদল সফটওয়্যার প্রকৌশলী এই ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবন করেন। ২০০৮ সালে এর নকশা হলেও এটি মুক্ত সোর্স সফটওয়্যার হিসেবে প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে।

বিটকয়েন ধরে রাখার তিনটি ভিন্ন পদ্ধতি আছে। প্রথমত, আপনি কয়েনবেস বা বিটফিন্যান্সের মতো অনলাইন এক্সচেঞ্জগুলোতে আইনি দরপত্র দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়ের মাধ্যমে বিটকয়েন রাখতে পারবেন। তৃতীয়ত, প্রক্রিয়াকরণ (মাইনিং) করে আপনি নিজে বিটকয়েন তৈরি করতে পারেন। বিটকয়েন তৈরি করতে খনি শ্রমিকের মতো পরিশ্রম করতে হয়। মেধা তো আছেই, প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তিরও প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url