ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আপনিও অবশই ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। এক্ষেত্রে, “ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব” এবং “কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো” এই ২ টি প্রশ্ন আপনার মনে অবশই ঘর করে বসেছে।
তবে চিন্তা করবেননা, এই ধরণের প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক এবং জরুরি। কেননা, বর্তমানে কোনো স্কুল বা কলেজে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়না। যার ফলে, এই ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টা প্রথম অবস্থায় আমাদের কিছুটা অন্যরকম অবশই মনে হয়ে থাকে।

তবে চিন্তা করবেননা,

আজকে, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনাদের অনেক কিছু পরিষ্কার করে বলবো এবং, আজকে আপনারা জেনেনিবেন যে,
  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো ?
  • অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কিভাবে নিতে পারবেন 
  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো ?
  • Freelancing এর কাজ কিভাবে পাবো ?
  • সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ / দক্ষতা যেগুলোর চাহিদা প্রচুর 
আমরা প্রত্যেকেই জানি, ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন এক বিস্বাসী মাধ্যম যেটার দ্বারা ঘরে বসে প্রচুর অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে হাজার লক্ষ freelancers রয়েছে, যারা নিজের পছন্দ হিসেবে যেকোনো জায়গার থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করছে এবং চাকরির তুলনায় অনেক বেশি টাকা ইনকাম করছেন।

 বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের, তাই বর্তমানের আধুনিক ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব ভালো করেই বুঝতে পারেন।

ফলে, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়টা তাদের মনে ঘর করে নিয়েছে। তাহলে চলুন, বেশি সময় নষ্ট না করে জেনে নিই, “কিভাবে শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ“.

পোস্ট সূচিপত্র:

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি ? (What is freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি নিজের skills, knowledge, experience, qualification ইত্যাদি ব্যবহার করে, অন্য ব্যক্তিদের জন্য কাজ করবেন এবং আপনি যেই ব্যক্তির জন্য কাজ করবেন, সেই ব্যক্তি কাজ করার বিনিময়ে আপনাকে টাকা দিবে।

ফ্রিল্যান্সিং হলো সেই পরিবেশ যেখানে আপনি একজন freelance বা self-employed হিসেবে জীবন-নির্বাহ করছেন এবং আপনার ওপর কারো মালিকানা অধিকার থাকবে না।

সহজ ভাবে বললে, চাকরির চিন্তা না করে আপনি একটি boss free life এর মজা নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনি কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তা, সংগঠন, কোম্পানি বা দল এর সাথে সংযুক্ত থাকছেন না।
Freelancing এর ক্ষেত্রে, আপনি একজন self-employed যে কেবল নিজের জন্য নিজের মালিক হয়ে কাজ করছে। যেই ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে জীবন-নির্বাহ করছেন, তাকে “Freelancer” বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা মানেই, অন্যান্ন ব্যক্তি বা কোম্পনির জন্য চুক্তি হিসেবে কাজ করা। আর তাই, freelancing এর কাজ করার জন্য আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ talent বা skills থাকতেই হবে, যেগুলো আপনি সার্ভিস হিসেবে অন্যদের বিক্রয় করতে পারবেন।

আপনার মধ্যে যেকোনো দক্ষতা বা talent থাকতে পারে। যেমন, web designing, app developer, graphic designer, content writer, WordPress developer ইত্যাদি হাজার হাজার ধরণের কাজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো ? (ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ)

আগের সেই সময় চলে গেছে যেখানে একটি নতুন বিষয়ে জানার ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সময় লেগে যেতো। বর্তমান হলো ইন্টারনেটের সময়। আর তাই, যেকোনো নতুন বিষয়ে নিমিষের মধ্যে জেনে নেওয়া সম্ভব ইন্টারনেটের মাধ্যমে। “ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব“, এই প্রশ্ন করার সাথে সাথে ২টি বিষয়ে আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন।

প্রথম বিষয়,

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি পেশা যেখানে আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকাটা জরুরি। তাই, যখনি ফ্রিল্যান্সিং শিখার কথা আসছে তখন শিখার মধ্যে আপনার যেকোনো একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে জ্ঞান নিয়ে নিতে হবে।

যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ইত্যাদি অনেক বিষয় রয়েছে।

প্রথমেই যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফলে, ভবিষ্যতে আপনি অন্যদের জন্য সেই কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

দ্বিতীয় বিষয়,

কেবল প্রফেশনাল কাজ জানা থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন না। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার সাধারণ প্রশিক্ষণ অবশই নিয়ে নিতে হবে যাতে সঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করা যেতে পারে।
উদাহরণ স্বরূপে,
  • কিভাবে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করবেন ?
  • সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলো ?
  • কিভাবে কাজ খুজবেন ?
  • সঠিক ভাবে কাজ করার নিয়ম কি ?
  • ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করার কৌশল 
  • কিভাবে নিজেকে জনপ্রিয় freelancer হিসেবে তৈরি করবেন ?
ইত্যাদি, এই ধরণের বিষয় গুলো নিয়ে আপনার জ্ঞান নিতে হবে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন। এখন প্রশ্ন এটাই আসলো যে, “প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগে বলা কাজ গুলো কিভাবে শিখবো” ? এর উত্তর হলো অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ?

  • Google search 
  • YouTube 
  • Udemy 
  • lynda.com
  • khanacademy.org
অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রশিক্ষণ ও কাজ শিখার অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে।
  • আপনারা অনেক সহজেই Google search করে প্রচুর ওয়েবসাইট খুঁজে পাবেন যেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ রয়েছে।
  • YouTube হলো এমন একটি জনপ্রিয় platform, যেখানে ফ্রীতেই যেকোনো বিষয়ে ভিডিওর মাধ্যমে জেনে নেওয়া সম্ভব। তাই, YouTube এর মাধমেও freelancing এর বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান পেয়ে যাবেন।
  • Udemy হলো এমন একটি জনপ্রিয় online website যেখানে যেকোনো professional course আপনারা পেয়ে যাবেন। হে, কিছু টাকা আপনার অবশই দিতে হবে। তবে, professional ভাবে freelancing শেখার জন্য Udemy video courses কিন্তু সেরা।
  • Lynda.com হলো একটি জনপ্রিয় online platform, যেখানে ভিডিওর মাধ্যমে freelancing সহ অন্যান্য অনেক ধরণের courses করে নিতে পারবেন। এখানে আপনারা ১ মাসের জন্য ফ্রি এক্সেস পাবেন।
  • Khanacademy হলো জনপ্রিয় online platform যেখানে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত tutorials পাবেন।
তাহলে বুঝতে পারলেন, ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে কোন online platform গুলো ব্যবহার করা দরকার। তবে, আপনারা চাইলে local institute থেকেও ফ্রিল্যান্সিং এর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

কিন্তু, স্থানীয় ইনস্টিটিউট গুলোর তুলনায় Udemy বা YouTube এর মাধ্যমে খুব সহজে Professional ভাবে বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার তৈরি করে কাজ শুরু করার জন্য আপনার শুরু থেকে Step by step কাজ করতে হবে।
  • একটি বিশেষ স্কিল এর নির্বাচন করতে হবে।
  • নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • আপনি কাজের জন্য কত টাকা নিবেন সেটা ঠিক করুন।
  • নেওয়া কাজ গুলো সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে করুন এবং নিজের ভালো প্রোফাইল তৈরি করুন।

১. কাজ সিলেক্ট করুন

আপনার যেকোনো একটি বিষয়, টপিক বা প্রফেশন নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর আসতে হবে। ধরুন, আপনি অনেক ভালো graphic design বা logo design করতে পারেন। এক্ষেত্রে, আপনি graphic designer হিসেবে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করে লোগো ডিজাইনিং এর কাজ গুলো খুঁজতে ও করতে পারবেন।
আপনি কোন কাজ সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে করতে পারবেন, সেটা আগেই ভেবে নিতে হবে। কেননা, আপনার কাজ পছন্দ না হলে পরের বার থেকে কাজ পেতে অসুবিধে হবে।

২. ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি

কোন স্কিলের ওপরে কাজ করবেন সেটা ঠিক করার পর আপনার একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এজন্য, অনেক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোর ব্যবহার আপনি করতে পারবেন। যেমন,
  • upwork.com
  • fiverr.com
  • freelancer.com
  • guru.com
ওপরে বলা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, আপনারা নিজের জন্য দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর কাজ পাওয়ার সুযোগ বানিয়ে নিতে পারবেন।

তবে, প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে অসুবিধে হতেই পারে। আস্তে আস্তে যখন আপনি নিজের একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করে নিবেন, তখন লোকেরা আপনাকে কাজ দিতে সংকোজ করবেননা।

৩. কাজের বিনিময়ে কত টাকা নিবেন

প্রত্যেকটি কাজের বিনিময়ে আপনি ক্লায়েন্টদের থেকে কত টাকা নিবেন, সেটা নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনাকে অনেক কম টাকা নিয়েই কাজ করতে হবে।

কেননা, নতুন করে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে আসবেন, তখন লোকেরা আপনার ওপর তেমন বিশ্বাস রাখতে পারবেনা। তাই, অনেক কম charges রাখলে, কম টাকায় কাজ করিয়ে নেওয়ার লোভে আপনি অনেক clients পেয়ে যাবেন।

৪. সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে কাজ করুন

মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে প্রথম সময়টাই কিন্তু নিজের একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করার সুযোগ। প্রথম সময়ে আপনি অনেক কম টাকা নিয়ে কাজ করবেন। আপনি কম টাকা নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু ভালো করে সময়ের মধ্যে কাজ করে দিতে পারলে,

আপনাকে ভালো ভালো review দেওয়া হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর platform এর মধ্যে আপনার একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি হবে। আর একবার এটা হয়ে গেলে, পরের সময়ে আপনি নিজের মন মতো টাকা আদায় করতে পারবেন প্রত্যেক কাজের বিপরীতে।

নতুন নতুন কাজ বা প্রজেক্ট কিভাবে পাবো ?

আপনি যখন নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন, তখন সেই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে প্রচুর projects দেখতে পাবেন। বিভিন্ন কোম্পানি গুলো তাদের প্রয়োজন হিসেবে কাজ/প্রজেক্ট গুলো পাবলিশ করে থাকেন।
আপনি কোন কাজ করতে চাচ্ছেন, সেই হিসেবে প্রকল্প গুলো দেখে কাজ করার অনুরোধ জানাতে পারবেন। যেই ব্যক্তি কাজ বা প্রজেক্ট পাবলিশ করেছেন, সে যদি আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে আগ্রহী হয়ে থাকে, তাহলে সে আপনার সাথে অবশই যোগাযোগ করবে।

তাছাড়া, Fiverr সহ অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোতে আপনি কি কাজ কত টাকার মধ্যে করতে পারবেন, সেটা লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। এভাবে, কাজ করানোর জন্য আগ্রহী লোকেরা আপনাকে খুঁজে পেতে পারবেন।

জনপ্রিয় এবং লাভজনক ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো

যখন ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার কথা হচ্ছে, তখন আমাদের মনে একটি বিশেষ প্রশ্ন অবশই চলে আসে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কোন কাজ গুলো অধিক পরিমানে পাওয়া যাবে ? তাই তো ?

তাহলে জেনে রাখুন, এমনিতে বিভিন্ন ধরণের কাজ বা প্রজেক্ট করানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোকেরা বা কোম্পানি এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে চলে আসে। তবে, এমন কিছু বিশেষ কাজ রয়েছে যেগুলো করানোর জন্য ফ্রীল্যান্সারদের চাহিদা ও প্রয়োজন অধিক হয়ে থাকে।
সেই লাভজনক কাজ গুলো হলো –
  • Content writing – বর্তমান সময়ে যেকোনো business বা company, তাদের product, services বা business promotion এর ক্ষেত্রে article লিখানোর ক্ষেত্রে ভালো কনটেন্ট রাইটারদের খুজেঁ থাকে। এই কাজের চাহিদাও অনেক এবং কনটেন্ট রাইটিং করে অনেক ইনকাম করা সম্ভব। প্রত্যেকটি আর্টিকেল লিখার জন্য আপনি $5 থেকে $15 বা তার থেকেও বেশি আদায় করতে পারবেন।
  • Web designing – আজ যেকোনো business বা company নিজের একটি website design করিয়ে নিতে চান। আর তাই, কমের মধ্যে একটি ভালো business website তৈরি করার জন্য একজন professional freelancer এর খোঁজ চলতেই থাকে।
  • Graphic designer – আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন করতে কাজ জানেন, তাহলে freelancing করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আজ যেকোনো business, website, product বা brand তাদের জন্য একটি ইউনিক লোগো (logo) বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করানোর চাহিদা রাখেন। তাই, একজন ফ্রীল্যান্সার এবং গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে এই কাজ আপনি অবশই করতে পারবেন।
  • Social media manager – আজ প্রত্যেক company এবং business গুলোর নিজের নিজের social media profile রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে, কোম্পানি গুলো জনপ্রিয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে সক্রিয় থাকে। এখন, এই account গুলোকে কম টাকায় manage করার ক্ষেত্রে কোম্পানিরা freelancers দের hire করে থাকেন।
  • Digital marketing – বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর। কোম্পানি গুলো তাদের business, product এবং services গুলোকে অনলাইনে প্রচার করানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করানোর জন্য freelancers hire করেন।
  • App developer – আজ সবাই app তৈরি করে নিজের Android apps দিয়ে টাকা আয় করার কথা ভাবেন। এক্ষেত্রে, অনেকেই এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করানোর ক্ষেত্রে freelancers দের এই কাজ দিয়ে থাকে। তাই, অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবেও আজ ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর আয় সম্ভব।
  • Animation – আপনি যদি অ্যানিমেশনের কাজ জানেন তাহলেও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অ্যানিমেশন এর সাথে জড়িত কাজ পেয়ে থাকবেন।
এছাড়াও, আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে প্রচুর।

 শেষ কথা

আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনাদের মনে থাকা প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি দিতে পেরেছি। আমাদের আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে অবশই শেয়ার করবেন।

এছাড়া, how to start freelancing নিয়ে লিখা আজকের আর্টিকেলের সাথে জড়িত যদি কোনো রকমের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে অবশই নিচে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url